কাচ্চি ঘানি (Cold pressed) এই প্রক্রিয়ায় সরিষার দানা সরাসরি পিষে এ থেকে তেল বের করা হয় এই তেল হয় খুব ঘন এবং ঝাঁঝযুক্ত। এই তেল সবচেয়ে বেশী স্বাস্থ্য উপকারী। এটা হজম শক্তি বাড়ায়, হৃদপিন্ড ভাল রাখে, চুল গজানোয় সাহায্য করে এবং শরীরের মাংশ শক্ত হয়ে যাওয়া (muscle stiffness) রোধ করে।
হজম প্রক্রিয়াঃ সরিষার তেল হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে।
সরিষার তেল ব্যথা কমায়ঃ সরিষার তেলে থাকা প্রদাহ বিরোধী (Anti-inflammatory) উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা, অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং রিউম্যাটিক এর ব্যথাও দূর করে।
ক্যান্সার রোধঃ এই তেলে থাকা গ্লুকোসিনোলেট (Glucosinolate) নামক উপাদান মলাশয় ক্যান্সার এবং অন্ত্রের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।
সরিষার তেল ফুসফুস পরিষ্কার রাখেঃ সরিষার তেল এক ধরণের ডিকঞ্জেস্টেন্ট বা শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক। এই তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে লাগালে কফজনিত সমস্যার সমাধান হয়।
সরিষার তেল ফুসফুস পরিষ্কার রাখেঃ : সরিষার তেলে থাকা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ক’রে হৃদরোগের ঝুঁকি ৭০% কমিয়ে আনতে পারে।
এজমা রোগে সরিষার তেলঃ এজমা এটাক (Asthma attack) হলে সরিষার তেল বুকে ঘষলে শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সবসময় এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
ত্বক ও চুলের যত্নে সরিষার তেলঃ শীতের সময় এই তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং শরীর গরম থাকে। এই তেলের ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাস বিরোধী গুণাগুণ ত্বক ও চুলকে উজ্জ্বল করে তুলে। এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক কখনই কালো হয় না বরং ত্বকের টোনের উন্নতি হয়।